ইরানে হামলা করতে বাধা দিতে পারে এমন চিন্তা করে পশ্চিমা নেতাদের ফোন ধরছেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আনাদুলু এজেন্সি বলেছে যে, নেতানিয়াহু মনে করছেন- পশ্চিমা নেতাদের ফোন ধরে তিনি চাপের মুখোমুখি হবেন এবং ইরানে হামলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কান জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর বিদেশু নেতারা নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনার সময়সূচী দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নেতানিয়াহু সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
কান জানিয়েছে, নেতানিয়াহু শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের হারেৎজ দৈনিক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করেছে- যিনি বলেছেন যে, ইসরায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ ইরানে হামলার সিদ্ধান্তকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
সোমবার ভোরে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল।
সিরিয়ার রাজধানীতে তাদের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে ১ এপ্রিলের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার ইরান ইসরায়েলের উপর বিমান হামলা চালায়। এটি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাদের ভূখণ্ডের ভেতরে ইরান যে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেটির জবাব দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যাতে যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো ইরানে পাল্টা হামলা না করার পরামর্শ কিংবা আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন।
কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে ইসরায়েলের সরকারের দিক থেকে কিছু জানানো হয়নি। ইরান ইতোমধ্যে বলেছে যে তাদের হামলার জবাবে ইসরায়েল যদি আবারো হামলা চালায় তাহলে এর চেয়ে বেশি কঠিন জবাব দেওয়া হবে।