কক্সবাজারের টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ভাতিজা শাহজাহান মিয়াকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পরদিন সকালে সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার এক বার্তায় জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে তার হামলার ফুটেজ রয়েছে। সহিংসতা ও মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে গত ২০ অগাস্ট সাবেক সংসদ সদস্য বদিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০০২ সাল থেকে টেকনাফ পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা বদি ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা এক তালিকায় বদি এবং তার ভাই-বেয়াই, মামা-ভাগ্নে মিলিয়ে পরিবারের ১০ জনের নাম আসে।
২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বদির বেয়াই আক্তার কামাল, যিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের দুটি এবং মাদক পাচারের তিনটি মামলা ছিল।
মাদকের কারবারে বার বার নাম আসায় সমালোচনার মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বদির বদলে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় সাজা হলে জেলেও যেতে হয়েছিল টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান বদিকে। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান।
মাদক পাচারে বদির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২ সেপ্টেম্বর র্যাবের এক বার্তায় বদিকে ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।