সোহেল রানা তালতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইনকে ঘুষ না দেওয়ায় মামলার মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম। সঠিক তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার ।
আজ মঙ্গলবার বেলা বিকাল ৪ টায়তালতলী সাংবাদিক ফোরামে লিখিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মো.নুরুল ইসলাম।
মামলা তদন্তের চলাকালীন নিরাপত্তার অযুহাতে ঘটনা স্থানে না গিয়ে ও তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারায় বিবাদীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছামতো তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমাখোলা নামক এলাকায় আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া ও ক্রয় সূত্রে আমরা তালতলী থানাধীন জে. এল ৪২নং বড় নিশান বাড়িয়া মৌজা এস, এ ১৩০নং দাগে ১৬ একর ৪৮ শতাংশ জমির মালিক আমি। বিগত বছর থেকে এ পর্যন্ত সোবহান গং ওই জমি দখল নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মামলা দায়ের করেন, সবকটি মামলা আমরা রায় পাই। এবং বহু বছর ধরিয়া আমরা ওই জমিতে মাছের ঘের ও চাষ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করতেছি। বিবাদীরা গত (১২ ই আগস্ট) রোজ সোমবার ভোর রাত আনুমানিক ৪ ঘটিকায়। দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে আমার ঘেরের মাছ লুট করে নেয় এবং ঘেরে বাঁধ কাটিয়া অবশিষ্ট মাছ খালে নামিয়ে দেয়। এতে আমার ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এরপর বিবাদীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহারা দিতে থাকে গত (৯ সেপ্টেম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। মহামান্য বিচারপতি মামলাটি আমলে নিয়ে নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে
তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক রায় দিবে মর্মে আমার কাছে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায়,তিনি বিবাদীর পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে জানতে পারি।মৎস্য কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার জন্য বিবাদীরা তাদের গৃহপালিত একটি গরু ও একটি বেসরকারি এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে মৎস্য কর্মকর্তার নিকট দেন। এ ছাড়া মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না গিয়ে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে লাউপাড়া বাজারে বসে উভয় পক্ষকে ডেকে আপস মীমাংসায় মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আমি রাজি না হলে তিনি আমার উপরে ক্ষিপ্ত হন। এবং ঘটনার কিছু মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে আদালতে দিয়ে দেন।
বাদীর কাছে ঘুষ চাওয়া ও বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন এর কাছে জানতে চাইলে। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন। আমি কারো কাছে কোন টাকা পয়সা চাইনি এবং কারো কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেইনি। ঘটনাস্থানে আমি আমার লোকজনসহ গিয়েছিলাম। যেটা সরজমিনে পেয়েছি সেই বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি।