রাজধানীর কারওয়ান বাজার আজ (শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর) ঘুরে দেখা যায়, এ সপ্তাহে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা কমেছে দাম। তবে তা ১৬ শ’ থেকে ১৮ শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় সাইজের ইলিশ গত সপ্তাহে ২ হাজার থেকে ২২শ' পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে, সামনে দাম আরও কমার কথা বলছেন তারা।
ইলিশ দেশের বাজারে দামের দিক থেকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বহুদিন। বহুদিন ধরেই মানুষের প্রত্যাশা, দেশিয় এই মাছ হোক সহজলভ্য। জাতীয় মাছের স্বাদ সব সময় লেগে থাকুক আমজনতার মুখে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা এতো দিন অপূরণই রয়ে গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, দাম আরও কম হওয়ার কথা। ঘাট থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত ইলিশের বাজার সঠিক তদারকিতেই হাতের নাগালে আসতে পারে এই মাছ।
একই সাথে কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। কয়েকদিন আগেও যে মরিচের দাম ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৪০ টাকা কমে হয়েছে ১৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমার কারণ।
এছাড়া কাঁচা বাজারে অন্যন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত দেখা গেলেও দাম প্রায় অপরিবর্তিত।
আলু কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেরস ৪০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, লাউ সাইজভেদে ৫০-৬০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা এবং রসুন ২২০ টাকা।
অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় অনেক খামার নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমেছে মুরগি ও ডিমের। বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে কিছুটা দামও৷
সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ২৫০-২৬০ টাকা এবং ১৬৫-১৭০ টাকা। আর ডজন প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ডিমের দাম হয়েছে ১৫৫-১৬০ টাকা।
এছাড়া গরুর মাংস ৭৩০-৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খাসির মাংস ১১০০ টাকায়।