
বাজারে চালের সংকট নেই কিন্তু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দুই সপ্তাহ ধরে মোটা চালের দাম ৫৮ টাকা কেজি আর সরু চাল কমপক্ষে ৮০ টাকা। খুচরা বিক্রেতা ও মিল মালিকেরা বলছেন, কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিপুল চাল মজুত করেছে। দাম বাড়াচ্ছে তারাই। বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে দাম কমার আশা খাদ্য উপদেষ্টার।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেট কোথাও চালের ঘাটতি নেই। সব দোকানেই বিপুল মজুত কিন্তু দাম বাড়তি। রাজধানীতে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের চাহিদা বেশি। সেই সরু চালের দাম ৮০ টাকা বা তারও বেশি। মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
এক ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের ইনকাম তো অবশ্যই কম। মাসে বেতন পাই ১১ হাজার টাকা। এতে সংসার চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।’
এক বিক্রেতা বলেন, ‘চালের বাজারটা বিভিন্ন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বড় বড় কোম্পানিগুলা ধান, চাল স্টক কইরা ওরা যখন যে রেট বাজারে নির্ধারণ করে তাই হয়।’
এদিকে সবচেয়ে বেশি চাল সরবরাহ হয় কুষ্টিয়া থেকে। চালের দাম বাড়ার জন্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুষছেন সেখানকার মিল মালিকেরা।
কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেট কোথাও চালের ঘাটতি নেই। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
মোহাম্মাদ সুজন নামের কুষ্টিয়ার এক মিল মালিক বলেন, ‘মিলারদের মজুত থাকে, এটা অবৈধ না। অনেকে তাদের ধরতে পারে, তুমি মজুত করছো, যেহেতু তুমি বেশি দামে কিনছো এখন কম দামে বিক্রি কর। মজুত করলে সরকার থেকে অনেক সমস্যা করে। একজন মিলার কী পরিমাণ মজুত করতে পারবে সেটি নিয়ে একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন।’
ভোক্তাদের অভিযোগ, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। তবে খাদ্য উপদেষ্টার দাবি, ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে, দাম কমবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের বিদেশ থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে এবং সোর্স হবে মাল্টিপল। যেসব সোর্স থেকে কম দামে চাল আনতে পারব সেসব সোর্সের দিকে আগাব।’
এদিকে সরকারি গুদামে চালের মজুত কমে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ টনে। কম দামে চাল বিক্রিও বন্ধ করে দিয়েছে টিসিবি।