সাভারের আশুলিয়ার তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকেরা নিরাপত্তা না পেলে কারখানা বন্ধ রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠকে আশুলিয়ার মালিকেরা এসব কথা বলেন।
তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হামলার কারণে কারখানা চালানো যায়নি। অনেক কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করতে আসছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়ে কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাও হয়েছে কোথাও কোথাও।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না পেলে মালিকরা কারখানা বন্ধ রাখতে চান। তারা বলেছেন শিল্পের নিরাপত্তায় পুলিশের পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না। কিছু কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করেন। অনেক বন্ধ কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনেক মালিক বলেছেন, প্রয়োজনে ১০ দিন কারখানা বন্ধ থাকুক। কারণ, কারখানা পুড়িয়ে দিলে তো আর ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।
এর আগে, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাক শিল্পের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ নেতারা। বৈঠকে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বন্ধ সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ছুটি দেওয়া বেশিরভাগ কারখানা বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয়ে যায়।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময় সাভারের আশুলিয়ায় ১২৯ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে বেশিরভাগ কারখানাই ছুটি হয়ে যায় দুপুরের পর।