মালাইকা অরোরা, খান পরিবারের পুত্রবধূ হয়েছিলেন আরবাজ খানকে ভালোবেসে। বিয়ের পর সবটাই চলছিল বেশ ভালোই। মাঝে মধ্যে পর্দায় দেখাও যেত তাকে। এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মালাইকা আরোরা।
তারপর হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন। সাজানো সংসার রাতারাতি ভেঙে যাওয়ার খবর সামনে আসে। শোনা গিয়েছিল, আরবাজ খান ও মালাইকা আলাদা হতে চলেছেন। যদিও এই বিয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেছিলেন সালমান খান।
অর্জুন কাপুরের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল মালাইকা অরোরার। অন্যদিকে, অর্জুন কাপুরের বাবা বনি কাপুর সালমান খানের বেশ কাছের মানুষ। শোনা যায় সালমান খান নাকি বনি কাপুরকে দিয়েছিলেন হুমকি।
বলেছিলেন অর্জুন কাপুরকে বলিউডে কাজ করতে দেবেন না। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মালাইকার হাত ছাড়তে রাজি ছিলেন না অর্জুন কাপুর। ফলে বিবাহবিচ্ছেদ শেষ পর্যন্ত হয়ে যায়। তবে এই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একাধিক খবর ছড়িয়ে পড়ে রাতারাতি।
কখনও শোনা যায়, তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কখনও আবার লিভইনের খবর। সম্পর্কে বিচ্ছেদের জল্পনাও কম প্রকাশ্যে উঠে আসতে দেখা যায় না, মালাইকা ও অর্জুনের মধ্যে। তবে সর্বাধিক যা খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল, তা হল বিবাহবিচ্ছেদের সময় তিনি খোরপোশ বাবাদ কত কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
শোনা যায় মোট ১৫ কোটি টাকা খোরপোশ বাবাদ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও এই খবর যখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তখন সরব হতে দেখা যায় মালাইকা আরোরার আইনজীবীকে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর কোনও সত্যতা নেই।
পাশাপাশি এও জানান, খোরপোশ বাবদ যে অর্থই দেওয়া হোক না কেন, তা প্রকাশ্যে আলোচনা হওয়ার মতো বিষয়ই নয়। ফলে এই বিষয় আলোচনা হওয়া কাম্য নয়। ফলে মালাইকা কোনওদিনই এই খবরে সিলমোহর দেননি। তিনি এই খবর মিথ্যে বলেও উড়িয়ে দেননি।