
ফিরিয়ে দিও না
মো. সেলিম হাসান দুর্জয়
আবার দেখা হবে...
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাইনি একরত্তি
ও চোখের মায়ায় পড়ে যাই যদি! এটাই ছিল ভয়
হাসি পাচ্ছে বুঝি, মিথ্যে নয় পুরোটাই সত্যি।
জানো, কখনো কখনো ইচ্ছে হয় - বলতে
এদিকওদিক কি দেখছো? বলছি তোমাকে
তোমার ঐ সুমিষ্ট কপালের টিপটি দিবে আমায়?
ভয় পেয়ো না, তোমার টিপকে চাঁদ বানিয়ে
আমি তার আকাশ হবো। মালিকানা তোমার ললাটে।
জানো,একজনকে কবিতা বানিয়েছিলাম, চলে গেছে
তোমাকে কবিতা নয়, মহাকাব্য বানাবো হৃদয় মলাটে।
যদি কবি সত্তা ভুলে, পুরুষত্ব জেগে উঠে কামনার চরে
দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে শরীরে ঘুমিয়ে থাকা উষ্ণতা
তুমি থামিয়ে দিও দেবী হয়ে, দমিয়ে দিও লালসার পূর্ণতা।
আমি আবার শান্ত হবো- খুব শান্ত।
কবি হয়ে...
তোমার কাছে ফিরবো বার বার
চিরতারুণ্য লাভের অমোঘ মোহাবিষ্টে
কখনো রাঙা গোলাপ কখনো শুভ্র বকুল হাতে।
ফিরিয়ে দিও না... সম্মতিও দিও না
মিষ্টি হাসিটা দিও কিন্তু,
আমি চাই না হতে তোমার হৃদয় সিন্ধু
শুধু মনের কোণে সঙ্গোপনে
যতন করে রেখে দিও
করে একবিন্দু।
তোমাকে ধরবো না, ছাড়বো না
মাঝামাঝি যা হবে, যা হয় করণীয়
তুমি আমি মেনে নিব উহাই বরণীয়।
আবারো বলছি-
ফিরিয়ে দিও না... সম্মতিও দিও না
ফিরিয়ে দিলে হারিয়ে যাবে
আমার বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টার চন্দ্রবিন্দু
পেয়ে গেলে হিসেব-নিকেশ চাওয়া-পাওয়া
বড্ড নিকাশ ঘর...
ম্রিয়মাণ হবে তোমার আমার প্রেমের স্বর্ণেন্দু।
কবি হয়ে...
তোমার কাছে ফিরবো বার বার।