প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমজান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমজান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিনি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন তারা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
এ সময় সম্প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতার প্রশংসা করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রমজান বলেন, এটি সময়োপযোগী এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘স্পষ্ট’ ছিল বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এ সময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তারা (ফিলিস্তিনি) তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে।
বাংলাদেশে পড়াশোনা করা প্রায় ৬০ জন ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা করছেন বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, আরো দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় আছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর উদ্বেগ এবং নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা থামছে না। ফিলিস্তিনের বিদ্যমান বাস্তবতা কেবল আরব কিংবা মুসলমানদের জন্যই উদ্বেগজনক নয়, বরং তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেক ফিলিস্তিনির জীবন অমূল্য। ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়বদ্ধ করতে হবে।
ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশেষত নারী এবং শিশুদের সাথে প্রতিনিয়ত যে নিষ্ঠুরতা বিশ্ব দেখছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির (ইমিডিয়েট অ্যান্ড কমপ্লিট সিসফায়ার) আহ্বান জানাচ্ছে। দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই (টু স্টেট সল্যুশন) মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনতে পারবে, তাই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকলকে এর বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।