দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বেকারত্বের বোঝা। পড়াশোনা শেষ
করে নূন্যতম বেতনেও চাকরির সুযোগ না পেয়ে হতাশায় বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের আত্মহননের মতো
কাজ। অথচ প্রযুক্তিগত দক্ষতা আর কঠোর অধ্যবসায়ে যেকেউ আইটিখাতে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন,
এমনকি অন্যদের জন্যও তৈরি করতে পারেন কর্মসংস্থানের সুযোগ। তথ্য-প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের
কথা চিন্তা করে তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে বিডিকলিং একাডেমি।
প্রতিনিয়তই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলছে অনেকের।
রোববার (১৩ জুলাই) বিডিকলিং একাডেমি থেকে গণমাধ্যমে
পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালে ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটারে
ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের পথচলা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই
প্রতিষ্ঠানটি ৬ শতাধিক কর্মীর পরিবারে পরিণত হয়েছে। এমনকি বর্তমান সময়ে দেশে ক্রমবর্ধমান
বেকারত্বের কথা বিবেচনা করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের
পরিকল্পনা রয়েছে বিডিকলিংয়ের। বিশাল সংখ্যক এই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বিডিকলিং
একাডেমিতে দক্ষতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা, যেখানে দক্ষ প্রশিক্ষকের পাশাপাশি হাত-কলমে
শেখার সুযোগ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিডিকলিং একাডেমিতে
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী তাদের নিজেদের বেকারত্ব
ঘুছিয়েছেন। এছাড়াও ‘ম্যাক-টেক সলিউশন্স’, ‘ওয়ান আইডিয়া সলিউশন্স’, ‘আরটুএ’, ‘মাকরাম
আইটি’সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বিডিকলিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ
নেওয়া শিক্ষার্থীরা।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পর্কে বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের
সিইও মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, দেশে যে হারে কাজের বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে,
তা উদ্বেগজনক। পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) একটা বিজ্ঞপ্তিতে ৫/৬’শ পদের বিপরীতে আবেদন
পড়ে লাখ লাখ প্রার্থীর। এই অবস্থা দেখেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
দেশে বেকারত্বের হার এভাবে বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব নিয়ে হতাশা
বাড়ছে। আমরা মনে করি এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারলে আইটি সেক্টরে তাদের
জন্য বড় সম্ভাবনা আছে। চাকরিতে নির্দিষ্ট একটা গন্ডি থাকলেও আইটি সেক্টরে কাজের কোন
গন্ডি নেই। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কাজ করা
যাচ্ছে। বিনিময়ে আয়ের সুযোগ থাকছে লাখ লাখ টাকার।
বিডিকলিং একাডেমির অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানাজার
(এজিএম) রনি সাহা বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা এবং চাহিদার কথা চিন্তা
করে বিডিকলিং একাডেমি বিভিন্নধর্মী প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে। নামমাত্র মূল্যে
যেকেউ চাইলেই আমাদের এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তক্ষতা অর্জন করতে পারে। যারা প্রশিক্ষণে
ভালো করবে, তাদের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানেই কাজের সুযোগ থাকবে।
যেসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ-
বিডিকলিং একাডেমি কম্পিউটার টেকনোলজি বিষয়ক ৬০টিও অধিক
বিষয়ে দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এগুলোর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলো- অ্যাপ ডেভেলপার উইথ ফ্লাটার, মার্ন স্টাক ডেভেলপার, নেটওয়ার্কিং,
লিড জেনারেশন উইথ ডাটা এন্ট্রি, অ্যাডভান্স এক্সেল এক্সপার্ট, ভিডিও অ্যান্ড মোশন এডিটর,
ওয়ার্ডপ্রেস স্পেশালিস্ট, ইউএক্স/ইউআই ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং
স্পেশালিস্ট, ওরাকল ডাটাবেইজ, সাইবার সিকিউরিটি।