মোঃ জাহিদুল ইসলাম
দুমকি ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকীতে ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রকে কোচিংয়ে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে জোরপূর্বক বলাৎকারের (ধর্ষণের) অভিযোগ উঠেছে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
গত সোমবার ( ৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পরের দিন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে পটুয়াখালী সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তিতে দুমকী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন ।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রাইভেট শিক্ষক সাইমুন(২৪) পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাকেরগঞ্জের মধ্য নলুয়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল মৃধা'র ছেলে। তিনি উপজেলার দুমকী সংলগ্ন জলিশা গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১ বছর ধরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সহ আরও ১০/১২ জন ব্যাচে অভিযুক্ত সাইমুনের কাছে প্রাইভেট পড়ে। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য রাতে তার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতে ওই শিক্ষার্থী ও তার মা-বাবাকে অনুরোধ করে সাইমুন। একপর্যায়ে গত সোমবার শিক্ষার্থীর বাবা মা ছেলেকে ভালো পড়াশোনার জন্য সাইমুনের বাসায় রাতে পড়তে পাঠায়। সেই রাতে শারীরিক নির্যাতন সহ বলাৎকার করা হয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে। সর্বশেষ উলঙ্গ অবস্থায় ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর ছবিতুলে রাখে এবং কাউকে জানালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশের হুমকি ধমকি দেয় ওই শিক্ষক। কিন্তু খুব ভোরে বাড়িতে গিয়ে মাকে বলে দেয় ওই শিক্ষার্থী।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ বলেন, আটককৃত সাইমুনের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুমকী থানার মামলা নং ৫/২৪। বৃহস্পতিবার তাকে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়।